গত শনিবার (২৩ জুলাই) ঘটে যাওয়া হাকালুকি হাওরের টর্নেডো মনে করিয়ে দিল ৩২ বছর আগের মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার ভয়াবহতা। ওই দিন দেশের ইতিহাসে টর্নেডোতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, এরপর আর তেমন ঘটনা ঘটেনি। তবে ছোটখাটো টর্নেডো ঘটে যাওয়া কোনো ব্যতিক্রম কিছু নয়। আমাদের এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় টর্নেডো সাধারণত হয় না। এগুলো খুব বড় হয় না বলে আমাদের দেশের মানুষের নজরে তেমন আসে না।
তিনি বলেন, হাকালুকি হাওরে যেটা হয়েছে, সেটা কিছুটা বড় ছিল। হয়তো দিনের তাপমাত্রা সেখানে খুব বেশি ছিল। এ কারণে এটি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানেই হয়।
সূর্যের তাপে বাতাস খুব গরম হয়ে ওঠলে নিচের বাতাস হালকা হয়ে ওপরে ওঠে যায়। আর সেই শূন্যস্থানটা ওপরের বাতাস এসে পূরণ করে। গরমে সেটাও হালকা হয়ে ওপরে ওঠে যায়, ফের ওপর থেকে ঠাণ্ডা বাতাস নিচে নেমে এসে শূন্যস্থান পূরণ হয়। এতে যে ঘূর্ণনের সৃষ্টি হয়, সেটাই টর্নেডো।
তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এবার জুলাই মাসে টানা তাপপ্রবাহ ছিল। এই মাসে সাধারণত বৃষ্টি থাকে। আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি খুব আগে থেকে ধারণা করা যায় না। বিশেষ টর্নেডোর হঠাৎ করেই হতে পারে। তবে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়া আপাতত হাকালুকির ঘটনার পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা কম। এ নিয়ে কোনো শঙ্কাও নেই। তবে তাপমাত্রা বেশি হলে ফের হতেই পারে।
১৯৮৯ সালের ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আঘাত হেনেছিল টর্নেডো। এতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল। আহত হয়েছিল প্রায় ১২ হাজার জন। এতে ১ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিল। ক্ষতি হয়েছে ২০ গ্রামের পরিবেশ-প্রতিবেশ।
Leave a Reply