আন্তর্জাতিক বাজারে “মিয়াজাকি” আম ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়। ফল চুরির ভয়ে আমবাগানে লাঠি হাতে পাহারা নতুন কিছু নয়। কিন্তু গাছে মাত্র ৭টি আম। আর তার পাহারায় ৪ জন সিকিওরিটি গার্ড ও ৬টি জার্মান শেপার্ড! বাড়াবাড়ি ভাবছেন নিশ্চই? কিন্তু, এই আমের এক-একটির দাম শুনলেই চমকে যাবেন আরও।
কোন জাতের আম এটি? আর পাঁচটা হিমসাগর, মল্লিকা, ল্যাংড়া, বেগমপসন্দ, গোলাপখাসের সঙ্গে এই আম গুলিয়ে ফেললে ভুল করবেন। কারণ এটি বিশ্বের অন্যতম বিরল প্রজাতির আম। এর নাম ‘মিয়াজাকি’ (Miyazaki)।
মিয়াজাকি আমের উৎপত্তি জাপানে! দাম কত এই আমের? আন্তর্জাতিক বাজারে মিয়াজাকি আম ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়। জাপানে একটি মিয়াজাকি আমের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১৫ হাজার টাকারও বেশি হতে পারে।
চাষের পদ্ধতি : বিশেষ তাপমাত্রা, নির্দিষ্ট পরিমাণে জল, পরিমিত সার-সহ একাধিক জিনিসের সমন্বয়ে মিয়াজাকি আম চাষ করতে হয়।
জাপানের মিয়াজাকি নামক স্থানেই এটি চাষ শুরু হয়। খুব বেশিদিন নয়, ১৯৭০ দশকের শেষেই প্রচলিত হয় এই জাতের আম। একটি আমেরই দাম একটা স্মার্টফোনের সমান। তাই আম নষ্ট হলে লোকসানও অনেক।
তাই গাছে আম ধরার পর থেকেই নানারকম সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়। জব্বলপুরের এই আমবাগানে যেমন নিরাপত্তাকর্মী, রক্ষী কুকুর রাখা হয়েছে। এছাড়াও যে কোনও মিয়াজাকি আমের বাগানেই আম যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্যও ব্যবস্থা করা হয়। আমের বোঁটার সঙ্গে গাছের মূল ডাল একটি সরু, শক্ত নাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। এর ফলে আম সহজে খসে পড়বে না।
এছাড়া প্রতিটি আম প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে দেওয়া হয়। যাতে গায়ে একটুও দাগ না লাগে। তাছাড়া পাখি, হনুমানে যাতে আম না ঠোকরায়, তার জন্য সর্বক্ষণ রাখতে হয় কড়া নজরদারি। রোজ বার বার প্রতিটি আম গুনে দেখা হয়।
কেন এত দাম? চাষের পদ্ধতি শুনেই নিশ্চই দামের কারণ কিছুটা আন্দাজ করতে পারছেন। অসাধারণ স্বাদের বিষয়টি তো আছেই। আফগানিস্তানের নূরজাহানের পরেই নাকি এর স্বাদ, মত অনেকের।
Leave a Reply