ভারতের বিহারের জামুইতে খোঁজ মিলেছে বিশাল সোনার খনির। আশ্চর্যের বিষয় গাছ-গাছালি আর লাল মাটির নীচে যে এত বড় সোনার ভাণ্ডার লুকিয়ে রয়েছে তা কেউ কোনও দিন ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেনি। এই সোনার ভাণ্ডারের সন্ধান পেতে ৪০ বছর সময় লেগে গেছে। এখান থেকে ২৩ কোটি টন স্বর্ণ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কিভাবে এই সোনার খনির খোঁজ মিলেছে তার পিছনেও একটি দারুণ কাহিনি আছে। জানেন কি, কোনও বিজ্ঞানী বা অন্য কোনও যান্ত্রিক উপায়ে এর খোঁজ মেলেনি। বিশাল এই সোনার ভাণ্ডারের খোঁজ মিলেছে পিঁপড়ার মাধ্যমে। অবিশ্বাস্য হলেও, এমনই দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিহার রাজ্যের ওই এলাকাটি মাওবাদী অধ্যুষিত। এখানকার লাল মাটির নিচে যে এত পরিমাণ সোনা থাকতে পারে, তাই নিয়ে কারও ধারণাই ছিল না। তবে একইসঙ্গে জানা যাচ্ছে যে, গোটা দেশে মোট মজুত সোনার ৪৪ শতাংশ এখানেই রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের বৃহত্তম এই সোনার খনি থেকে খননের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বিহারের জামুই জেলায় প্রায় ২৩ কোটি টন সোনার জরিপ করেছে। এছাড়া সোনার সাথে প্রায় ৩৭.৬ টন খনিজ আকরিকেরও সন্ধান মিলেছে সেখানে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সম্প্রতি জামুই জেলার ওই এলাকায় সোনার খনন কার্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্র সরকারের সাথে আলোচনাও চালাচ্ছে তারা।
প্রসঙ্গত, জানা যাচ্ছে যে বিহারের এই এলাকায় সোনার মজুত খুঁজে পেতে প্রায় ৪০ বছর লেগেছে। তবে এই খোঁজ সম্ভব হয়েছে পিঁপড়ার কারণে। এই এলাকায় জনশ্র“তি আছে যে, চল্লিশ বছর আগে এই এলাকায় একটি বিশাল বটগাছ ছিল। সূর্যের তাপ থেকে বাঁচতে পিঁপড়ারা বটগাছের নিচে বাসা বাঁধতে শুরু করে। কথিত আছে, পিঁপড়ারা যখন নিচ থেকে মাটি তুলতে শুরু করে, তখন স্থানীয় লোকজন মাটিতে হলুদ ধাতুর ছোট ছোট কণা দেখতে পান। এরপর এ খবর এলাকার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার পরই সোনা নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়।
Leave a Reply