বগুড়ার শেরপুরের শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন শিক্ষক ও তিনজন শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে পাঠদান। অথচ ওই স্কুলে কাগজে-কলমে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর ও শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন ৫ জন বলা হয়েছে। শিক্ষার্থী না থাকায় অলস সময় কাটিয়ে শুধু বেতন ভাতা উত্তোলন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুরের বিশালপুর ইউনিয়নের শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী ও তিনজন শিক্ষককে উপস্থিত পাওয়া গেছে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্কুলের সময় নির্ধারিত থাকলেও এই স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক কেউই সময়মতো স্কুলে আসেন না। ছুটিও হয় ৩টায়। এভাবেই চলছে সদ্য সরকারি হওয়া শ্যামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
নিয়ম মোতাবেক স্কুল না চলা ও শিক্ষার মান ভালো না থাকায় অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের অন্য স্কুলে ভর্তি করেন বলে অভিযোগ করেছে। দিন দিন স্কুলটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় আসতে শুরু করেছে। ৩ মে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুলে গিয়ে দেখা যায় তৃতীয় শ্রেণির সোহাগ নামের একজন মাত্র শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। এর প্রায় ১ ঘণ্টা পর চতুর্থ শ্রেণির নূরে ইসলাম ও পঞ্চম শ্রেণির আব্দুল্লাহ নামের ১ জন শিক্ষার্থীর দেখা মিলে। এ সময় ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন শিক্ষককে উপস্থিত পাওয়া যায়।
তারা হলেন, সহকারী শিক্ষক কিসমত আরা কেয়া, সান্তনা খাতুন ও শোচীন্দ্রনাথ সরকার। ২১ মে বিকাল সাড়ে তিনটায় সরজমিনে গিয়ে স্কুলটি বন্ধ পাওয়া যায়। আবারও ২৬ মে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় স্কুলে গেলে খেলাধুলার জন্য পতাকা তুলে স্কুলটি বন্ধ রাখা হয়েছে এমনটি জানান অভিভাবক সদস্য রুনি রানী। ওই দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক মেরিনা খাতুন ও সহকারী শিক্ষক চম্পা খাতুন স্কুলে হাজির হননি। উপস্থিত শিক্ষকগণকে বার বার অনুরোধ করলেও তারা শিক্ষার্থীর ক্লাস নেননি। অভিভাবক সদস্যের স্বামী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুল সংলগ্ন প্রতিবেশী ও স্কুলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুলে শিক্ষার্থী প্রায় ২০ জন আছে। কিন্তু খাতা কলমে ৫৫ জন রয়েছে। প্রতিদিন ৩টায় স্কুল ছুটি হয় এমনটায় জানালেন স্কুলে উপস্থিত ৩ জন শিক্ষার্থী।
Leave a Reply