যুক্তরাজ্যের প্রিন্স চার্লস কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জসিম আল থানির কাছ থেকে তার দাতব্য কাজের জন্য স্যুটকেসভর্তি এক মিলিয়ন ইউরো অনুদান নেন বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমস-এর এক বিশেষ প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে এ তথ্য।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ছিল কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রিন্স চার্লসের গ্রহণ করা তিনটি নগদ অনুদানের মধ্যে একটি। সর্বমোট শেখ হামাদ বিন জসিম আল থানির কাছ থেকে তিন মিলিয়ন ইউরো নিয়েছেন প্রিন্স চার্লস।
রোববার (২৬ জুন) সানডে টাইমস-এর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে প্রিন্স চার্লস ব্যক্তিগতভাবে তিনবার নগদ অনুদান গ্রহণ করেন। এতে আরও বলা হয়েছে, ক্লারেন্স হাউসের এক বৈঠকে বিশেষ এক বাক্সে একবার অর্থ অনুদান নেন প্রিন্স। আরেকবার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ফোর্টনাম এবং মেসনের ব্যাগে ভরে অর্থ অনুদান দেওয়া হয়।
তবে ওই অনুদান গ্রহণ অবৈধ ছিল কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি, বলছে সানডে টাইমস।
ক্লারেন্স হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, শেখ হামাদ বিন জসিম আল থানির কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুদান অবিলম্বে প্রিন্স চার্লসের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের একজনের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এতে আরও বলা হয়, সমস্ত সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হয়েছে।
প্রিন্স অব ওয়েলসের ‘চ্যারিটেবল ফান্ড’ ১৯৭৯ সালে গঠন করা হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা হয় এই ফান্ডের মাধ্যমে। প্রিন্স চার্লস দাতব্য সংস্থার বিরুদ্ধে অনুদানের বিনিময়ে এক সৌদি দাতাকে যুক্তরাজ্যের সম্মান ও নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে সাহায্য করার অভিযোগ ওঠে। এরপর প্রিন্স চার্লসের দাতব্য সংস্থাগুলোতে অনুদানের বিষয়টি সম্প্রতি তদন্তের আওতায় আসে। দাতব্য সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তদন্তের প্রসঙ্গ আসায় ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফসেট গত নভেম্বরে পদত্যাগ করেছিলেন।
Leave a Reply